মানবধর্ম কবিতার MCQ প্রশ্ন ও উত্তর – ৮ম শ্রেণির বাংলা

লালন শাহ ‘মানবধর্ম’ কবিতার মাধ্যমে আমাদের মনে করিয়ে দেন যে, ধর্ম বা জাতের বাহ্যিক বিভাজন আমাদের মানবধর্মকে আড়াল করে। তিনি আহ্বান জানান, আমরা যেন এই বিভেদ ভুলে গিয়ে, পরস্পরকে মানবতার দৃষ্টিতে দেখি এবং একে অপরের প্রতি সহমর্মী হই। প্রিয় শিক্ষার্থীরা, তোমাদের জন্য আজকের পোস্টে মানবধর্ম কবিতার MCQ প্রশ্ন ও উত্তর – ৮ম শ্রেণির বাংলা লিখে দিলাম।

মানবধর্ম কবিতার mcq

১. লালন শাহ কোন সাধকের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন?
ক) সিরাজ সাঁই
খ) বাবা আচার্য
গ) গুরু শ্রী কৃষ্ণ
ঘ) ভগবান শিব
উত্তর: ক) সিরাজ সাঁই


২. লালন শাহ কোন ধরনের কবি ছিলেন?
ক) বৈষ্ণব কবি
খ) মানবতাবাদী মরমি কবি
গ) প্রগতিশীল কবি
ঘ) ধর্মীয় কবি
উত্তর: খ) মানবতাবাদী মরমি কবি


৩. লালন শাহ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
ক) ১৭৭২
খ) ১৮০০
গ) ১৮১৫
ঘ) ১৭৬৮
উত্তর: ক) ১৭৭২


৪. লালন শাহের গানের মধ্যে কোন দুটি বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে প্রকাশ পায়?
ক) ধর্মীয় শাস্ত্র ও ঐতিহ্য
খ) অধ্যাত্মভাব ও মরমি রসব্যঞ্জনা
গ) প্রেম ও মিত্রতা
ঘ) দেশপ্রেম ও সাহিত্যের মূল্য
উত্তর: খ) অধ্যাত্মভাব ও মরমি রসব্যঞ্জনা


৫. লালন শাহ কোন অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন?
ক) ঝিনাইদহ
খ) কুষ্টিয়া
গ) ঢাকা
ঘ) চট্টগ্রাম
উত্তর: ক) ঝিনাইদহ


৬. লালন শাহের মৃত্যু হয় কত সালে?
ক) ১৮৯০
খ) ১৮৮৫
গ) ১৮৭২
ঘ) ১৯০০
উত্তর: ক) ১৮৯০


৭. লালন শাহ গানের মাধ্যমে কী প্রচার করেন?
ক) ধর্মীয় শাস্ত্র
খ) মরমি দর্শন
গ) সমাজের অবস্থা
ঘ) সঙ্গীতের মূলনীতি
উত্তর: খ) মরমি দর্শন


৮. ‘মানবধর্ম’ কবিতাটি কার রচনা?
ক) কাজী নজরুল ইসলাম
খ) লালন শাহ
গ) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘ) কাজী আব্দুল মান্নান
উত্তর: খ) লালন শাহ


৯. ‘মানবধর্ম’ কবিতায় লালন শাহ কী সম্পর্কে আলোচনা করেছেন?
ক) মানুষের জাত-পরিচয়
খ) মানুষের ধর্ম
গ) মানুষ ও প্রকৃতি
ঘ) মানুষের ধর্মীয় রীতি
উত্তর: ক) মানুষের জাত-পরিচয়


১০. লালন শাহ ‘মানবধর্ম’ কবিতায় কি প্রশ্ন করেছেন?
ক) জাত-ধর্মের বিভেদ কোথায়?
খ) লোকে কোন ধর্ম মানে?
গ) জাতের কি গুরুত্ব?
ঘ) মানুষ কি সত্যিকারের ধর্ম জানে?
উত্তর: গ) জাতের কি গুরুত্ব?


১১. লালন শাহ কোনটি বিশ্বাস করেন না?
ক) জাত-ধর্মের বিভেদ
খ) মানবধর্ম
গ) ধর্মের আচার
ঘ) জ্ঞানের সত্যতা
উত্তর: ক) জাত-ধর্মের বিভেদ


১২. লালন শাহ ‘মানবধর্ম’ কবিতায় কী বলেন?
ক) জাতি ধর্মের ভিত্তিতে মানুষ আলাদা
খ) মনুষ্যধর্মই আসল
গ) ধর্মের ভেদাবেদ স্বাভাবিক
ঘ) জাতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই
উত্তর: খ) মনুষ্যধর্মই আসল


১৩. লালন শাহ ‘মানবধর্ম’ কবিতায় কী উদাহরণ দেন?
ক) মালা ও তসবি
খ) ফুল ও ফল
গ) নদী ও জল
ঘ) আলো ও অন্ধকার
উত্তর: ক) মালা ও তসবি


১৪. লালন শাহ জাত সম্পর্কে কী বলেন?
ক) জাতের চিহ্ন থাকে না
খ) জাতের গুরুত্ব অনেক বেশি
গ) জাত মানুষের ভিতরের পরিচয়
ঘ) জাতের মধ্যেই মানবধর্ম রয়েছে
উত্তর: ক) জাতের চিহ্ন থাকে না


১৫.’মানবধর্ম’ কবিতায় কীভাবে জাতের বিভেদ ব্যাখ্যা করেছেন?
ক) ধর্ম ও জাতের মাধ্যমে
খ) বাহ্যিক চিহ্ন ও আচার দ্বারা
গ) পৃথিবীকে সঠিকভাবে দেখার মাধ্যমে
ঘ) মানুষের মনুষ্যত্বে
উত্তর: খ) বাহ্যিক চিহ্ন ও আচার দ্বারা


১৬. কবিতায় লালন শাহ জলকে কীভাবে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেছেন?
ক) নদী ও সমুদ্রের পার্থক্য
খ) গর্তের জল ও গঙ্গার জল
গ) খাবার ও পানির সম্পর্ক
ঘ) আকাশ ও জল
উত্তর: খ) গর্তের জল ও গঙ্গার জল


১৭. কবিতায় লালন শাহ জাত ও ধর্মের ভেদাবেদ নিয়ে কী বলেন?
ক) জাত-ধর্মের ভেদাবেদ প্রকৃত
খ) জাত-ধর্মের ভেদাবেদ ভুল
গ) জাত-ধর্ম একে অপরকে বোঝায়
ঘ) জাত-ধর্ম সমান গুরুত্বপূর্ণ
উত্তর: খ) জাত-ধর্মের ভেদাবেদ ভুল


১৮. কবিতায় লালন শাহ কী নিয়ে গর্ব করেন?
ক) নিজ ধর্ম
খ) জাতীয়তা
গ) মানবধর্ম
ঘ) পৃথিবী
উত্তর: গ) মানবধর্ম


১৯. ‘মানবধর্ম’ কবিতায় লালন শাহ কি বলতে চান?
ক) মানুষের সঠিক ধর্ম হচ্ছে মানবধর্ম
খ) জাতি ধর্ম মানুষের প্রকৃত পরিচয়
গ) জাত ধর্মের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা থাকতে হবে
ঘ) পৃথিবী থেকে ধর্ম দূর করা উচিত
উত্তর: ক) মানুষের সঠিক ধর্ম হচ্ছে মানবধর্ম


২০. ‘মানবধর্ম’ কবিতায় লালন শাহ কতটি প্রতীক ব্যবহার করেছেন?
ক) একটি
খ) দুটি
গ) তিনটি
ঘ) চারটি
উত্তর: গ) তিনটি


২১. “জাতের চিহ্ন থাকে না” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক) মানুষের জন্মের সময় জাতের কোনো চিহ্ন থাকে না
খ) সকল জাতের চিহ্ন মুছে ফেলা উচিত
গ) জাতের চিহ্ন সঠিক
ঘ) জাত চিহ্নের গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে
উত্তর: ক) মানুষের জন্মের সময় জাতের কোনো চিহ্ন থাকে না


২২. কবিতায় জাতকে কীভাবে উপস্থাপন করেছেন?
ক) জাত হলো মানুষের প্রকৃত পরিচয়
খ) জাত একটা বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য
গ) জাতের মধ্যে মানবধর্ম নিহিত
ঘ) জাত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
উত্তর: খ) জাত একটা বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য


২৩. লালন শাহ ‘মানবধর্ম’ কবিতায় কী ধরনের বার্তা দেন?
ক) জাতি ও ধর্মের বিভেদকে অস্বীকার করা
খ) ধর্মের গুরুত্ব ও প্রভাব
গ) জাতির গৌরব ও সম্মান
ঘ) মানবিক সম্পর্কের গুরুত্ব
উত্তর: ক) জাতি ও ধর্মের বিভেদকে অস্বীকার করা


২৪. লালন শাহ কীভাবে মানুষের মধ্যে সমানতা প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেছেন?
ক) সবাই এক জাতের হতে হবে
খ) মানুষকে ধর্মের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে
গ) মানবধর্মই সকলের জন্য একমাত্র ধর্ম
ঘ) জাতি বা ধর্ম নিয়ে কোনো বিভেদ রাখা যাবে না
উত্তর: গ) মানবধর্মই সকলের জন্য একমাত্র ধর্ম


২৫. ‘গর্তে গেলে কূপজল’ কথাটির অর্থ কী?
ক) কূপজলের সাথে গর্তের কোনো সম্পর্ক নেই
খ) যেখানে আপনি থাকবেন সেখানে আপনার পরিচয়
গ) কূপজল এবং গঙ্গার জল এক
ঘ) জীবনশক্তি একটি মাত্র স্থানেই থাকে
উত্তর: খ) যেখানে আপনি থাকবেন সেখানে আপনার পরিচয়


২৬.’গঙ্গায় গেলে গঙ্গাজল হয়’ কথাটি কী বোঝায়?
ক) গঙ্গায় গেলে আপনি পবিত্র হবেন
খ) পানি সবখানেই এক থাকে
গ) গঙ্গায় যাওয়া মানবধর্মের অংশ
ঘ) পাত্র অনুসারে জল পরিবর্তিত হয়
উত্তর: ঘ) পাত্র অনুসারে জল পরিবর্তিত হয়

২৭. ‘মানবধর্ম’ কবিতায় লালন শাহ কতবার ধর্মের ভেদাবেদ সম্পর্কে কথা বলেছেন?
ক) একবার
খ) দুইবার
গ) তিনবার
ঘ) চারবার
উত্তর: গ) তিনবার


২৮. লালন শাহ মানবধর্মের পরিচয়ে কী উল্লেখ করেছেন?
ক) এটি সকল মানুষের ধর্ম
খ) এটি শুধুমাত্র হিন্দুদের জন্য
গ) এটি মুসলমানদের ধর্ম
ঘ) এটি মুসলমান ও হিন্দুদের জন্য ভিন্ন
উত্তর: ক) এটি সকল মানুষের ধর্ম


২৯. লালন শাহ জীবন এবং মানুষের সম্পর্কের মধ্যে কোনটি প্রধান?
ক) জাত
খ) ধর্ম
গ) মানবধর্ম
ঘ) রীতি
উত্তর: গ) মানবধর্ম


৩০. ‘মানবধর্ম’ কবিতায় লালন শাহ কোনটি বিশ্বাস করেন?
ক) জাত এবং ধর্মের গুরুত্ব
খ) মানবধর্মই সর্বোচ্চ
গ) ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব
ঘ) জাতের ভেদাবেদ
উত্তর: খ) মানবধর্মই সর্বোচ্চ

৩১. “জেতের” শব্দটি এখানে কী বোঝায়?
ক) জাতি বা ধর্ম
খ) স্থান বা দেশ
গ) ব্যক্তি বা নাম
ঘ) ভাষা বা রীতি
উত্তর: ক) জাতি বা ধর্ম


৩২. “কূপজল” শব্দটি কী বোঝায়?
ক) নদীর পানি
খ) কুয়োর পানি
গ) পবিত্র পানি
ঘ) সমুদ্রের পানি
উত্তর: খ) কুয়োর পানি


৩৩. “গঙ্গাজল” শব্দটি কোথায় ব্যবহৃত হয়েছে এবং এর অর্থ কী?
ক) নদী বা পানি বোঝাতে, পবিত্রতা
খ) নদী বা নদীর তীর বোঝাতে
গ) সাগর বা সমুদ্র বোঝাতে
ঘ) জলবায়ু বোঝাতে
উত্তর: ক) নদী বা পানি বোঝাতে, পবিত্রতা


৩৪. “জেতের ফাতা” এর অর্থ কী?
ক) জাত বা ধর্মের বৈশিষ্ট্য
খ) পানির উৎস
গ) মানুষদের চিন্তা
ঘ) ধর্মীয় অনুশাসন
উত্তর: ক) জাত বা ধর্মের বৈশিষ্ট্য


৩৫. “সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে” গানটি কোন গ্রন্থে গৃহীত হয়েছে?
ক) ‘লালন রচনা’
খ) ‘মানবধর্ম’
গ) ‘বৃন্দাবন মাধব’
ঘ) ‘মরমি সঙ্গীত’
উত্তর: খ) ‘মানবধর্ম’

Leave a Comment